চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

শিক্ষা

SCIP Plastics Project গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে জার্মানির বাউহাউস ইউনিভার্সিটি ভায়মার-এর সহযোগিতায় এবং জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নেচার কনজারভেশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেইফটি বিভাগের অর্থায়নে।

প্লাস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে সচেতনতার পাশাপাশি গবেষণার প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২২ নভেম্বর ১৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের SCIP Plastics Project টিমের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্লাস্টিকের দ্বারা অপূরণীয় দূষণ কমাতে টেকসই সক্ষমতা তৈরি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সচেতনতা তৈরি ও গবেষণা তথ্য বিণিময় বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক।

প্লাস্টিক নিঃসন্দেহে আমাদের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। দূষণের পাশাপাশি মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে। নদী-খালের নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে। তবে দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার কমাতে বিকল্প গবেষণার প্রয়োজন। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কাপড় ও পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্তত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লাস্টিকের দূষণ প্রতিরোধে টেকসই সক্ষমতা তৈরি শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম. রেজাউল করিম একথা বলেন।

 

১৪ নভেম্বর সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল পেনিনসুলার জিনিয়া হলে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের SCIP Plastics Project টিমের উদ্যোগে আয়োজিত সচেতনতা তৈরি ও গবেষণা তথ্য বিণিময় বিষয়ক এই গোলটেবিল বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশের প্লাস্টিক বর্জ্যের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। SCIP Plastics Project গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে জার্মানির বাউহাউস ইউনিভার্সিটি ভায়মার-এর সহযোগিতায় এবং জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নেচার কনজারভেশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেইফটি বিভাগের অর্থায়নে।

 

SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক এক্সপার্ট ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য  অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন ও অটোমোবাইল-বর্জ্য পরিবেশের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক। আমরা প্লাস্টিকের ব্যবহার হয়তো অস্বীকার করতে পারবো না। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক নিয়েও ভাবতে হবে। পলিথিন ও প্লাস্টিক আমাদের সমুদ্র এলাকা ও জীববৈচিত্র ধ্বংস করার পাশাপাশি শহরের ড্রেনেজ সিস্টেমকে অকেজো করে দিচ্ছে। চট্টগ্রামে এর প্রভাব অনেক বেশি।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এই ধরনের আয়োজন নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী উদ্যোগ। প্লাস্টিক ও পলিথিন আমাদের পরিবেশের জন্য বিষফোঁড়া। প্লাস্টিক ও পলিথিন-বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশে এর গুণাগুণ নষ্টের সাথে-সাথে পানিতে থাকা জীববৈচিত্রের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। নদী ও সাগরে প্লাস্টিক ও পলিথিনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে সমুদ্রের সম্পদ নিয়ে যে বিস্তর গবেষণা চলছে, প্লাস্টিক বর্জ্য এর জন্য মারাত্বক হুমকির কারণ হতে পারে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার বিকল্প নেই।

 

SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক ডিরেক্টর ও চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. ফারজানা রহমান জুথীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন প্রজেক্ট লিডার ও জার্মানির বাউহাউস ইউনিভার্সিটি ভাইমারের অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এখার্ড ক্রাফট, চুয়েটের সাবেক ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক এক্সপার্ট ও পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, কুয়েটের SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. রাফিজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ওয়াসার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল্লাহ। গোলটেবিল বৈঠক পরিচালনা করেন SCIP Plastics Project-এর সায়িন্টিফিক এক্সপার্ট ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন SCIP Plastics Project-এর গবেষণা সহযোগী ফারজানা খান ও গবেষণা সহকারী তৃষা দাশ।


- ই.হো

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video