মাদকের ভয়াল আগ্রাসী হানায় অনেক সম্ভাবনাময় জীবন হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাদক পাচারের সাথে যুক্ত কিছু অসাধু মানুষের অর্থলিপ্সা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধীদের সামাজিক পূর্নবাসনের কারনে সরকারের অনেক উদ্যোগ থাকলেও মাদকের পাচার ও বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না। মাদকদ্রব্য পাচার, আসক্তি নির্মুল, মাদকের অপপ্রয়োগ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সুষ্ঠু সমন্বয়, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, নাগরিক সমাজ, বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। মাদকের বিস্তার, পাচার ও অবৈধব্যবসা বন্ধে প্রয়োজন সামাজিক ও রাস্ট্রীয় প্রতিরোধ। ১৪ জুন মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আইস ফ্যাক্টারী রোড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
“বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বত্রিশটি জেলার মাদক পাচারের চিত্র এবং পাচার মোকাবেলায় সমন্বিত কৌশল নির্ধারণ গবেষণা” শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা আরো বলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিজিবি, আনসার, পুলিশ, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের অধিকতর সমন্বয় জোরদার করা উচিত। মাদক কারবারীরা যেন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষতায় মামলা থেকে রেহাই না পায় ও সামাজিকভাবে পুর্নবাসিত না হয় এ জন্য সরকারকে বিশেষভাবে উদ্যোগী হবার আহবান জানান বক্তারা।
মাদক নির্মূলে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো, তরুন জনগোষ্ঠিকে মাদক নির্মূলে সম্পৃক্ত করা, তৃণমূল পর্যায়ে বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশী করে মাদকবিরোধী প্রচারভিযানে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করা হয় কর্মশালায়।
স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট ঢাকা-এর উদ্যোগে চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিএসডিএফ) এর ব্যবস্থাপনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-এর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস.এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা প্রধান মো. আবুল হোসেন।
চট্টগ্রাম ক্যাব এর সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আমেদ আলী, চট্টগ্রাম জেলা উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর লুৎফুন্নাহার দোভাষ বেবী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারস অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেখা আলম চৌধুরী, এডাব চট্টগ্রামের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, আনসার ভিডিপির সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট মো. আলাউদ্দীন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার আবদুল হান্নান।
আলোচনায় অংশ নেন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট এর কর্মসূচি সমন্বয়কারী চন্দন লাহিড়ী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ ও আনজুমান আরা বেগম, বনফুলের নির্বাহী পরিচালক রেজিয়া বেগম, নারী উদ্যোক্তা নার্গিস আকতার নীরা, ভেজিটেবল এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, নারী নেত্রী ঝর্না বড়ুয়া, রুবি খান, ক্যাব বন্দরের আলমগীর বাদশা, দৈনিক পূর্বদেশ এর নিজস্ব প্রতিনিধি এম.এ হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের ব্যুরো প্রধান কমল চক্রবর্তী, কলামিস্ট মুসা খান, সমাজ কর্মী হারুন গফুর ভুইয়া, শাহীন চৌধুরী, ক্যাব যুব গ্রুপের সদস্য আবু হানিফ নোমান, নারী নেত্রী শাহীন শিরিন, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, হালিশহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এমদাদুল হক সৈকত, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মো. জানে আলম, প্রশান্তি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মো. শাহজাহান, পার্কের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম মান্না প্রমুখ।
- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
- মা ফা / জা হো ম
মন্তব্য করুন