স্বাধীনতার জন্য
ভিয়েতনামের জনগণের সংগ্রাম আর স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত কৃষিভিত্তিক দেশ থেকে
শিল্পায়নের পথে সাফল্য বাংলাদেশের মানুষদের অনুপ্রেরণা যোগায় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম
সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
২৬ নভেম্বর রবিবার
বিকালে টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন
মান কুঅং-এর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের উদ্দেশ্যে মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে
টেক্সটাইল, কৃষি, জাহাজ নির্মাণ, ইলেক্ট্রনিক্স, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট
ও পাটজাত পণ্য এবং হালকা প্রকৌশল প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভিয়েতনাম ব্যাপকভাবে
লাভবান হতে পারে৷ কারণ চট্টগ্রামে শিল্পায়নের উন্নত সুবিধার পাশাপাশি উন্নত যোগাযোগ
ব্যবস্থার কারণে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করা এখন বেশ সহজলভ্য।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত
বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভিয়েতনামের ভৌগোলিক মিল রয়েছে৷ দুটি দেশের অর্থনীতিই খুব দ্রুত
এগিয়ে যাচ্ছে। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব সমস্যা বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে
হচ্ছে সেগুলো ভিয়েতনামকেও ভোগাচ্ছে। তাই আমাদের একে অপরের কাছে শেখার আছে অনেক কিছু।
রাষ্ট্রদূত আরো
বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভিয়েতনামের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিনদিন গভীর হচ্ছে। ভিয়েতনামের
ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ এবং কোভিড
মহামারীর সময়েও দুদেশের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, দ্বিপাক্ষিক
বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আদান-প্রদান
এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য
সম্প্রসারণ সম্ভব।
এসময় দুপক্ষের মাঝে চট্টগ্রামের সাথে ভিয়েতনামের কোন একটি শহরকে ‘সিস্টার সিটি’ হিসেবে সম্পর্ক স্থাপন করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমসহ ভিয়েতনাম প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ।
- মা.ফা.