মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান।
আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা দেশের উন্নতি সহ্য করতে পারছেনা। তারা
বিভিন্ন সময় গুজব ছড়িয়ে হোক বা অন্যান্য অপকর্মের মধ্যে দিয়ে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা
নষ্ট করার জন্য তৎপর হয়ে আছে। তাদের সফল হতে দেয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে
বুকে ধারণ করে কঠোর হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের
সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ
কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ্,
কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা
একেএম সরোয়ার কামাল। বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ এমসয় উপস্থিত
ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। আলোচনা সভার পূর্বে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, সর্বস্তরের জনসাধারণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয়
শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু
একাডেমিতে চিত্রাংকন, হাতের লেখা, নৃত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে
পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে ১৬ ও ১৭ মার্চে ডিসি হিল, সিআরবি, টাইগারপাস ও জিইসি মোড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন