চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রাম সংবাদ

গত ৪ মার্চ সীতাকুন্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছে অনেকে। এর আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সীতাকুন্ডে প্রতি বছরই দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। যার বেশিরভাগই মানবসৃষ্ট।

অনিয়ম করে কেউ শিল্পকারখানা পরিচালনা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২৩ মার্চ ০৭, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম জেলার ভারী ও মাঝারি শিল্পপ্রবণ এলাকায় দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের নিমিত্তে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কোন শিল্পকারখানা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। আইন না মেনে অনিয়ম করে কেউ শিল্পকারখানা পরিচালনা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকেই সবাইকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। জেলার ভারী ও মাঝারি শিল্পপ্রবণ এলাকায় দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের নিমিত্তে জরুরী মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

 

৬ মার্চ সোমবার সকালে নগরীর সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা। এজন্য আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল খুঁটি শ্রমিক এবং সেই শ্রমিকের নিরাপত্তা, উদ্যোক্তাদের মূলধনের নিরাপত্তা দুটিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

 

ডিসি বলেন, গত ৪ মার্চ সীতাকুন্ডের কদমরসুলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছে অনেকে। এর আট মাস আগে সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সীতাকুন্ডে প্রতি বছরই দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। যার বেশিরভাগই মানবসৃষ্ট। খুব কমই প্রকৃতিগত।

 

ডিসি আরো বলেন, আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মধ্যে শুধুমাত্র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে ৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। অভিযানে ২০ লাখ টাকার অধিক জরিমানা আমরা করেছি। এক বছরের জেল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যেসব প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম অভিযান পরিচালনা করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে কোনও ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না।

 

মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এ দুর্ঘটনা রোধে আমরা একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। এরমধ্যে কিভাবে আমরা দুর্ঘটনা হ্রাস করবো, এটি মানবসৃষ্ট হোক আর প্রকৃতিগত হোক, পরিবেশের দূষণ কিভাবে রোধ করবো, দূষণ থেকে খাল-নদী রক্ষা, ভূ-গর্ভস্থ পানি কিভাবে নিম্নে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে, কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি ও পাহাড় কাটা কিভাবে রোধ করা যাবে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মালিকদের মূলধনের নিরাপত্তা আমরা কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি, এর পাশাপাশি সীতাকুন্ড এলাকায় কিভাবে আমরা একটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারবো সে বিষয়ে সবার মতামত আশা করছি। কর্ণফুলী, আনোয়ারা, মিরসরাই, হাটহাজারী এলাকায়ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। সে এলাকা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রামের এসপি মোহাম্মদ সুলাইমান, সীতাকুন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাৎ হোসেন, সীতাকুন্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমদ ও ভাটিয়ারি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন প্রমূখ।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদর্শন, চেম্বার, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রতিনিধি, শিপ ব্রেকার্স, বিভিন্ন কলকারখানার মালিক, পরিচালক, কর্মকর্তা ও শিল্পউদ্যোক্তাবৃন্দ।


- মা.ফা.

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video