ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গ্রেপ্তার হওয়া শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । উল্লেখ্য, তিনি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবও।
রাজ্যে স্কুলশিক্ষক নিয়োগে
বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
(ইডি ) তাঁকে গত ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার করে।
পার্থ চ্যাটার্জিকে তাঁর
বাড়িতে গত ২২ জুলাই সকাল থেকে একটানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা তল্লাশি ও জেরা করার পর
পরদিন সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২১ জুলাই বিকেলে
রাজ্যের গভর্নরের আদেশ অনুসারে মুখ্য সচিব একটি নির্দেশিকা জারি করেন, যেখানে লেখা
হয়েছে শিল্প-বাণিজ্য, তথ্যপ্রযু্ক্তি, পরিষদীয় সহ পার্থ চ্যাটার্জির হাতে থাকা সব
দায়িত্ব থেকে তাঁকে মুক্ত করে দেওয়া হল।
পার্থ চ্যাটার্জির এক ঘনিষ্ঠ
অভিনেত্রীর দুটি ফ্ল্যাটে দুই দফায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ ও লক্ষ
লক্ষ টাকা মূল্যের গয়না আর সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেপ্তার হয়েছেন মি. চ্যাটার্জির
ঘনিষ্ঠ ওই অভিনেত্রী অর্পিতা মুখার্জিও।
প্রথম দফায় প্রায় ২২ কোটি
টাকা উদ্ধার এবং পার্থ চ্যাটার্জি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস বলেছিল, উদ্ধার
হওয়া টাকার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। পার্থ চ্যাটার্জির ভবিষ্যতও আদালতের ওপরে
ছেড়ে দিয়েছে তাঁর দল।
কিন্তু ২০ জুলাই অর্পিতা মুখার্জির
আরেকটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২৮ কোটি রুপি নগদ ও আরো কয়েক কোটি রুপি মূল্যের
অলঙ্কার এবং সোনা উদ্ধার হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই পার্থ চ্যাটার্জিকে সরিয়ে
দেওয়ার জন্য দাবি উঠতে থাকে।
দলের তিনজন মুখপাত্র সামাজিক
মাধ্যমেই এই দাবি তোলেন বৃহস্পতিবার সকালে।
প্রকাশ্যেই দলীয় নেতারা
বলতে শুরু করেন যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দলের মহাসচিবের নাম জড়িয়ে যাওয়ায়
তাদের “মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে”।
পার্থ চ্যাটার্জিকে দলেও
রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার
কথা। ঘটনাচক্রে পার্থ চ্যাটার্জিই তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান।