২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রেস ব্রিফিং-এর মাধ্যমে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ড্রাইভার পদে গাড়িচালক মিঠুন চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তিকে সরকারি চাকুরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে সোহেল ও তার সহযোগী জসিম। সরকারি চাকুরি পাওয়ার আশায় মিঠুন প্রতারক চক্রটিকে গত ১৫ জুলাই সকালে আড়াই লক্ষ টাকা এবং পরে আরো আড়াই লক্ষ টাকা দেয়। চক্রটি গাড়িচালক মিঠুনকে একটি নিয়োগপত্র দেয়। নিয়োগপত্রটি যাচাই-বাছাই করে মিঠুন জানতে পারেন এটা ভুয়া নিয়োগপত্র।
বিষয়টি নিয়ে প্রতারক সোহেল ও তার সহযোগী জসীম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্ন ধরণের তাল-বাহানা শুরু করে ও হুমকি ধমকি দেয়। গাড়িচালক মিঠুনের অনুনয়-বিনয় ও কান্নাকাটির পর সোহেল ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেয় এবং বাকি টাকা পরে দেবে বলে আশ্বস্ত করে। কয়েকদিন পর আবার প্রতারক চক্রটির সাথে যোগাযোগ করলে মূলহোতা সোহেল আলম জানায় তার কাছে কোন টাকা নেই, সকল টাকা তার সহযোগী জসীম উদ্দিনকে দিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে প্রতারক সোহেল আলমের সাথে মিঠুন চক্রবর্তীর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর টাকার জন্য খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, দুই প্রতারকেরই মোবাইল ফোন বন্ধ। মিঠুন বিষয়টি হাটহাজারী বাজার সমিতিকে অবহিত করলে তারাও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়।
ঘটনার পরিপেক্ষিতে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মিঠুন চক্রবর্তী র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আবেদনের বিষয়টি আমলে নিয়ে র্যাব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। র্যাব-৭ জানতে পারে, প্রতারক চক্রের মূলহোতা সোহেল আলম হাটহাজারী পশ্চিম দেওয়ান নগর পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের পাশে একটি দোকানে অবস্থান করছে। ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে র্যাব হাটহাজারী চারিয়া শিকদার পাড়ার মৃত ফয়েজ আহমদের পুত্র সোহেল আলম (৩৬)-কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের মূলহোতা সোহেল জানায়, সে ও তার সহযোগী জসীম উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় চাকুরি দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
আটক সোহেলকে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন