চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

শিক্ষা

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের করতে এখানে বছরভিত্তিক আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা জোরদার করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির প্রতিযোগিতার পরিবর্তে জ্ঞানের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে হবে

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২২ নভেম্বর ১৯, ১২:৩১ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দলাদলি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনীতির প্রতিযোগিতার পরিবর্তে জ্ঞানের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে হবে। শৃংখলা বজায় রাখতে হবে। সুষ্ঠু পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্বজ্ঞানের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।  

 

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের করতে এখানে বছরভিত্তিক আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রকাশ করতে হবে। সে জার্নালে দেশি-বিদেশি গবেষকদের গবেষণা প্রবন্ধ প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। জার্নালটি এত মানসম্পন্ন করতে হবে যে বিদেশি গবেষকরা যেন এ জার্নালে নিজেদের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য উম্মুখ হয়ে থাকে। এ জার্নালকে যেন রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি সুষ্ঠু দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা জোরদার করতে হবে। চারুকলা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চারুকলা বিভাগ না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণহীন হয়ে যায়। তাই চারুকলা বিভাগের মাস্টার্সের কোর্স যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।

 

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে সরকার বিএনপিকে হেফাজতের মতো দমন করতে চায়-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন আমাদের কোন সমাবেশ করতে দেয়া হতো না। আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কাঁটাতারের বেড়া থাকতো। সে বেড়ার বাইরে আমরা যেতে পারতাম না। অথচ এতো বছর ক্ষমতায় থেকেও আমরা কখনো বিএনপিকে দমন করার নীতি অবলম্বন করিনি। তবে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জনগণ যে কোন জায়গা হতে তাদের বিতাড়ন করবে।

 

তিনি বলেন, বিএনপি-সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালে আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড় হামলা হয়েছে। শেখ হেলাল এমপির জনসভায় হামলা করে বেশ কয়েকজন মানুষকে তারা হত্যা করেছিলো। আহসান উল্লাহ মাস্টার, ড. এসএম কিবরিয়া, সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সমাবেশের উপর তারা বারবার হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এখন আমরা ক্ষমতায় অথচ বিএনপির সমাবেশে একটি পটকাও ফুটেনি। তারা যাতে সুন্দরভাবে সমাবেশ করতে পারে সরকার সবসময় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের উস্কানিমূলক আচরণের পরও আমাদের নেতা-কর্মীদের সংযত আচরণ করার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি। নেতা-কর্মীরা দলীয় নির্দেশ মেনে সংযত রয়েছে।

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রো-ভিসি প্রফেসর বেনু কুমার দে, বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন সভাপতি ও সাবেক মুখ্যসচিব আবদুল করিম, এলামনাই এসোসিয়েশনের সম্পাদক মাহবুবুল আলম, প্রক্টর প্রফেসর রবিউল হাসান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বক্তৃতা করেন। তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএন জিয়াউল আলম পিএএ অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন। সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন।

 

মন্ত্রী কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ তম দিবস উদ্বোধন করেন। এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বেলুন উড়িয়ে দিনের কার্যক্রমের সূচনা করেন ভিসি ড. শিরীণ আখতার। পরে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিভিন্ন বিভাগের ডিন, সিনেট মেম্বার, সিন্ডিকেট মেম্বার, ছাত্র নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীগণ র‌্যালিতে অংশ নেন।


- অ.হো

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video