বিদায় নিলেন ফুটবল
কিংবদন্তী এডসন আরান্তেস দো
নাসিমেন্তো - কালোমানিক পেলে। প্রায়
এক বছরের বেশি সময় ধরে কোলন ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছিলেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় নক্ষত্র
পেলে। ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে
ব্রাজিলের সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সর্বকালের অবিসংবাদিত সেরা ফুটবলার পেলের মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী ফুটবলপ্রেমীদের
মধ্যে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া।
১৯৪০
সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্মেছিলেন পেলে। বিশ্বখ্যাত
বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের সঙ্গে মিল রেখে পেলের বাবা-মা তাঁর নাম রাখেন এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। খেলোয়ার জীবনের শুরুতে তাঁর অসাধারণ
নৈপুণ্য দেখে অনেকেই তাঁকে পেস নামে ডাকতেন। পেস মানে পা। এই পেস থেকেই তিনি হয়ে যান পেলে।
১৯৫০ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ। পেলের বয়স তখন ১০ বছর। উরুগুয়ের সাথে নিজেদের শেষ ম্যাচটা ড্র করলেই ব্রাজিল হয়ে যেতো বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু গিগিয়ার দেয়া শেষ গোলে জিতে যায় উরুগুয়ে। খেলার পরপর সেদিন আবেগপ্রবণ বহু ব্রাজিল সমর্থক মারাকানার স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার মধ্যে মারা যায় ১৬ জন। পুরো ব্রাজিল তখন শোকে আচ্ছন্ন। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার দুঃখে সেদিন নিজের বাসায় কাঁদছিলেন পেলের বাবা দোনদিনহো। তখন তার ১০ বছর বয়সের ছেলে পেলে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, কেঁদো না, ঐ বিশ্বকাপটা আমি তোমিাকে এনে দেবো।
কথা
রেখেছিলেন ছোট্ট পেলে। তাঁর হাত ধরেই প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছিল ব্রাজিল। ১৯৫৮ সালে সুইডেনে বিশ্বকাপ জয়ে ব্রাজিল দলের হয়ে দারুণ ভূমিকার
জন্য মাত্র ১৭ বছর বয়সে তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন পেলে। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে মোট
তিনবার বিশ্বকাপ জয় করার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন পেলে। তিনিই একমাত্র খেলোয়ার, যিনি
এতবার বিশ্বকাপ জয় করেছেন।
মন্তব্য করুন